দুর্গাপুর ব‍্যারেজের স্বাস্থ‍্য পরীক্ষার জন‍্য ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকছে যানবাহন চলাচল

13th February 2021 3:27 pm বর্ধমান
দুর্গাপুর ব‍্যারেজের স্বাস্থ‍্য পরীক্ষার জন‍্য ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকছে যানবাহন চলাচল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : দুর্গাপুর ব্যারাজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দরুন শনিবার রাত্রি বারোটা থেকে রবিবার রাত্রি বারোটা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। দামোদর নদের ওপর তৈরী বাঁধ কতটা লোড নিতে সক্ষম সেটারই  সমীক্ষার কাজ শুরু হবে আজ রাত্রি থেকে।শুধু বাঁকুড়া বীরভূম পুরুলিয়া নয় দক্ষিনভারতের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করছে এই সেতু।গত পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে দামোদরের উপর দুর্গাপুর ব্যারেজের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত বারোটা থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত্রি বারোটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ থাকবে ব্যারেজের রাস্তা । ব্যারেজের সেতু সিমেন্ট দিয়ে তৈরী। সেই সিমেন্টের ঢালাই এর বয়স হল ছেষট্টি বছর। ব্যারেজ তৈরির পর নিয়ম অনুযায়ী ষাট বছর পর এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই কাজ ছেষট্টি বছর পর হল। এর আগে দুবার ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি দেখা দিয়েছিল দুর্গাপুর শহর সহ অন্যান্য জেলায়। কিন্তু সেতুর ঢালাই এর কোনও রকম সমস্যা দেখা গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদিন সম্পুর্ণ বন্ধ রেখে সেতুর উপর ওজন চাপিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এখন এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার ভারি গাড়ি যাতায়াত করে। ১৯৫২ সালে শুরু হয়েছিল দামোদরের উপর সেতু নির্মাণের কাজ। ১৯৫৫ সালে শুরু হয় এই ব্যারেজের উপর যান চলাচল ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি সর্বোপল্লি রাধা কৃষ্ণন। সেচ দপ্তর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এই রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং জানান, সমস্যা কিছুটা হলেও বন্ধ করতে হবে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। পুলিশ প্রশাসন দেখছে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।ঠিক হয়েছে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রানীগঞ্জ দিয়ে সমস্ত গাড়িকে বাঁকুড়া পুরুলিয়া পাঠানো হবে।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।